অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একটি ইহুদিবাদী মিডিয়া স্বীকার করেছে যে ইসরাইলি সরকার পশ্চিম এশিয়ায় তুরস্কের সম্প্রসারণবাদী নীতি রোধ করতে চায় এবং সিরিয়াকে কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত করে এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।
ইহুদিবাদী সংবাদপত্র “ইয়েদিওত আহারানোত” জানিয়েছে যে বাশার আল আসাদ সরকারকে উৎখাত করার পর নতুন সিরিয়ায় যে কৃত্রিম শান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ বিশ্লেষক মনে করেন যে সিরিয়া খুব শিগগিরি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।
এই ইহুদিবাদী পত্রিকাটি মনে করে, সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী দলের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি’র বক্তব্য যিনি প্রতি মুহূর্তে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন এবং ধীরে ধীরে সামরিক ইউনিফর্ম থেকে স্যুট এবং টাই পরা ব্যক্তিতে পরিণত হন তাকে বিশ্ব এবং অবশ্যই ইসরাইলের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করার কিছু নেই। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিষয়ের বিশ্লেষক ‘আব্দুল রহিম আনসারি’ও বর্তমান সিরিয়াকে সম্পূর্ণ দখলকৃত দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সিরিয়া দখল করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আনসারি এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছেন, “সিরিয়া দখল করা হবে না দেশটি এরইমধ্যে দখল করা হয়েছে। দেশটির সরকারে আধিপত্য বিস্তারকারী বিদ্রোহীদের নেতা সিরিয়ান বলে জানা যায়নি।
এই বিশ্লেষক আরো বলেন, ‘এ দেশের নতুন সরকারে ৫০ জনেরও বেশি অ-সিরীয় নিয়োগ পেয়েছেন যাদের মধ্যে কেউ কেউ আরবিও জানেন না। এই ধরনের ব্যবস্থা স্থায়ী হবে না।
পশ্চিম এশীয় ইস্যুতে আরেক বিশেষজ্ঞ হোসেইন হাজিও মনে করেন যে সিরিয়ার পরিস্থিতি খুবই নাজুক এবং সিরিয়ার বর্তমান সংকট এমন যে এটি অনেক রাজনীতিবিদকে পর্যন্ত বিভ্রান্ত করছে। তার মতে ৪০টিরও বেশি গোষ্ঠী যাদের সকলেরই রাজনৈতিক মিলিশিয়া বা সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে তারা সিরিয়ায় সরকার গঠনে অংশ নিতে চাইছে এবং এই প্রবণতা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।
রাজনৈতিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ সাইফ আল-রেজা শাহাবিও জোর দিয়ে বলেছেন যে, আমেরিকা ও ইসরাইলের অন্যতম কৌশল হল আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে বিভক্ত করা এবং এখন ওয়াশিংটন ও তেল আবিব সিরিয়াকে বিভক্ত করার কাজে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
Leave a Reply